শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
ফজলি আম রাজশাহীর সাথে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জেরও

ফজলি আম রাজশাহীর সাথে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জেরও

ফজলি আম রাজশাহীর সাথে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জেরও
ফজলি আম রাজশাহীর সাথে ও চাঁপাইনবাবগঞ্জেরও

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফজলি আমের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) স্বত্ব নিয়ে টানাপোড়নের অবসান হলো। আমটিকে ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর আম’ হিসেবে নতুন করে ঘোষণা দেওয়া হলো।

মঙ্গলবার (২৪ মে) শুনানি শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। রোববার (২৯ মে) অনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হবে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন।

মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকালে মুঠোফোনে ড. আলীম উদ্দীন জানান, ফজলি আমকে ঘিরে দুটি জেলার যে দাবি ছিলো সেটার সুরাহা করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদফতরে শুনানি হয়। দুই পক্ষই নিজেদের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেছে। সবদিক বিবেচনায় মন্ত্রণালয় ফজলি আমকে ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর আম’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

তবে এই রায়ে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদফতরের শরণাপন্ন হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো পক্ষের আপত্তি না থাকলে দুই মাস পরে জিআই পণ্য ফজলি আমের নতুন জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) গেজেটে প্রকাশিত হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ অক্টোবর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য হিসেবে ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ স্বীকৃতি পায়। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই স্বীকৃতি মিলেছিলো। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক তাদের দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিকেশনের (জিআই) ১০ নম্বর জার্নালে (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩ এর ১২ ধারা অনুসারে তা প্রকাশ করে।

এই স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সালের ৯ মার্চ আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষ থেকে ফজলি আমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দাবি করে এর বিরোধিতা করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদফতর এই শুনানির আয়োজন করে।

মঙ্গলবার (২৪ মে) রাজশাহীর পক্ষে শুনানিতে অংশ গ্রহণ করেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম শুনানিতে অংশ নেন। এদিন বেলা ১১টায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রারের সভাপতিত্বে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এই রায় ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

মতিহার বার্তা/এমআরটি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply